-->

REDMI NOTE 11T 5G ফুল রিভিউ ।সত্যিই কি পারফরম্যান্স সেরা ফোন?

Redmi এর অন্যতম সিরিজ Note এর 11সিরিজ লঞ্চ হওয়ার পরেই নানা ধরনের জনপ্রিয়তা পেয়েছে।এই সিরিজ এর একটি ফোন হলো Redmi Note 11T 5G । আজকের এই আর্টিকেল তিটে আমরা এই ফোন সম্পর্কে সংক্ষেপে কথা বলার চেষ্টা করবো।

•REDMI NOTE 11T 5G UNBOXING:

ফোনটি খোলার পর লাইটের সামনে রেখে দেখি যে এর একটা ইফেক্ট চলে আসে চোখের উপর। এই ফোনের ব্যাক সাইডের কালার আপনারা আরও দেখতে পাবেন কিন্তু যে কালারটা আমি নিয়েছি সেটা লাইটের সামনে নিলে চিকচিক করে ওঠে।



প্রথমে আমরা ব্যাক সাইডে একটা কাগজ লাগানো আছে সেটা খুলে দেই।আপনি দেখেন আপনি এটাই হয় ডিজাইনের আসল কালার। ডিজাইন যে করেছে তাকে ডিজাইনার অফ দ্যা ইয়ার প্রাইজ দেওয়া দরকার।এই ফোনের ব্যাক সাইড অনেক সুন্দর দেখতে। দেখেন একটু এই ফোনের ব্যাক সাইডের চকচকে প্রভাব।ব্যাক সাইড দেখলে খালি মনে হয় এটা সোনার মত চকচক করছে।আসলে এই ফোনের ব্যাক সাইডের কালার একটু ভিন্ন রকম। এটা আমার কাছে প্রথম ফোন ব্যাক সাইডের দিক থেকে উপরের দিকের যে কালার আছে সেটা একটু ভিন্ন আবার নিচের দিকে যে কালার আছে সেটাও একটু ভিন্ন।


এতে রয়েছে পলিকার্বনেট।যেখানে এই ফোনের ফোম ফ্যাক্টর আছে সেটি 8.7 mm বেধ।এর ওজন হবে ১৯৫ গ্রাম।এতে IP53 রয়েছে। যখন আপনি এটাকে হাতে নিয়ে চালাবেন তখন কিছুটা ঠিকঠাক মনে হয়।এর যে ফ্রেমটি রয়েছে সেটা প্লাস্টিকের কিন্তু এখানে একটা ফ্লেট আছে।আপনি যদি দেখেন এইযেস কিছুটা ফ্লেট আছে। হঠাৎ করে এই রাউন্ডের কর্নারগুলো হারিয়ে যায়। তো এজন্য আমরা পুরোটাকে ফ্লেট বলতে পারি না। কিন্তু এখন যে ফোম ফ্যাক্টরটা রয়েছে সেটা কিছুটা আলাদা।আমি যদি সত্যিকারে হিসেবে বলি দাম অনুযায়ী এই ফোনের ডিজাইন ঠিক আছে। ব্যাক সাইডে যদি গ্লাস দেওয়া হতো তাহলে আরো ভালো দেখতে, ভালো লাগতো।

REDMI NOTE 11T 5G Price In Bangladesh

নিচের দিকে আপনি দেখতে পাবেন যে ট্রিপল 5mj এর MI এর টাইপ C পোর্টের একটা স্পিকার পাবেন।পাশে রয়েছে সিম ট্রে যার মাধ্যমে আপনি সিম এবং মেমোরি কার্ড প্রবেশ করাতে পারবেন।একটা কথা আছে যে শাওমি অনেক জিনিস ফোন জর করে প্রবেশ করিয়ে দেয় আর সবসময় হাইব্রিড স্লট দেয়।এই জিনিসটাই আমার একটুও ভালো লাগে না।

আরও পড়ুন -

আইপি রেটিং কি ?কিভাবে কাজ করে।

এর সাথে সাথে ডান পাশে ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার আছে। আবার ওই যে বাটনটি রয়েছে সেটি আবার মোবাইল অফ বা অন করতে কাজে লাগে। ওই একসাথে দুটি কাজ হয়ে গেলে।এই ফোনে আবার ফেস আনলকও রয়েছে। আর সেগুলো খুব দ্রুত কাজ করে।


উপরে আপনি দেখতে পারবেন যে ঐখানে iR ব্লাস্টার, সেকেন্ডারি মাইকোল, আবার আরেকটি স্পিকার পাওয়া যাচ্ছে।এর মানে আপনি ডুয়াল অডিও স্পিকার পাচ্ছেন এই ফোনে।


•Redmi Note 11T 5G Camera:


Redmi Note 11T 5G-তে একটি 50-মেগাপিক্সেল প্রাথমিক ক্যামেরা এবং একটি 8-মেগাপিক্সেল আল্ট্রা-ওয়াইড অ্যাঙ্গেল ক্যামেরা রয়েছে;  এতে ডেপথ সেন্সর বা ম্যাক্রো ক্যামেরা নেই।  অনুপস্থিত সেন্সরগুলি কোনও চুক্তি ভঙ্গকারী নয়, যদি না আপনি ম্যাক্রো ফটো তোলা উপভোগ করেন।  সেলফির জন্য, এতে হোল-পাঞ্চ কাটআউটে একটি 16-মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট শুটার রয়েছে।  ক্যামেরা অ্যাপটি পরিচিত এবং সমস্ত বিভিন্ন শুটিং মোড যৌক্তিকভাবে সাজানো হয়েছে।  এছাড়াও HDR এবং AI দৃশ্য সনাক্তকরণের জন্য দ্রুত টগলস রয়েছে।


 Redmi Note 11T 5G ফোকাস লক করতে এবং সঠিকভাবে এক্সপোজার সেট করতে দ্রুত ছিল।  ডেলাইট শটগুলি ফোনের স্ক্রিনে ভাল লাগছিল, কিন্তু পরে সেগুলিকে বড় করে গড় বিবরণ প্রকাশ করে৷  ফোনটি ফটোগুলিকে বেশি তীক্ষ্ণ করে বলে মনে হয়, যার ফলে ছায়াগুলির বিশদ বিবরণ নষ্ট হয়ে যায়।  আল্ট্রা-ওয়াইড অ্যাঙ্গেল ক্যামেরা আপনাকে একটি বৃহত্তর দৃশ্যের ক্ষেত্র ক্যাপচার করতে সাহায্য করে, তবে এর আউটপুট প্রাথমিক ক্যামেরার মতো বিস্তারিত নয়।  ডিফল্টরূপে বিকৃতি সংশোধন সক্ষম হওয়া সত্ত্বেও আমি কয়েকটি শটে বিকৃতি লক্ষ্য করেছি।

 আপনি প্রাথমিক ক্যামেরার সম্পূর্ণ 50-মেগাপিক্সেল রেজোলিউশনে শট নিতে পারেন তবে বিশদগুলি কেবলমাত্র সামান্য ভাল ছিল।  এই ফটোগুলিও ওভারশার্পেনড লাগছিল।




লমাত্র সামান্য ভাল ছিল।  এই ফটোগুলিও ওভারশার্পেনড লাগছিল।

 

 ক্লোজ-আপ শটগুলি আরও ভাল হয়েছে এবং Redmi Note 11T 5G টেক্সচারগুলি ভালভাবে ক্যাপচার করতে পেরেছে।  এটি পটভূমিতে একটি নরম অস্পষ্টতা যোগ করে এমনকি পোর্ট্রেট মোড ছাড়াই, বিষয়টিকে আলাদা করতে সাহায্য করে।  পোর্ট্রেট শটগুলির প্রান্ত সনাক্তকরণ ভাল ছিল এবং আপনি শট নেওয়ার আগে অস্পষ্টতার স্তর সেট করতে পারেন৷  আশ্চর্যজনকভাবে, পোর্ট্রেট শট ফাইলগুলি ছিল 8MB-10MB প্রতিটি, একটি নিয়মিত শটের আকারের প্রায় তিনগুণ।

 

 কম আলোর শটগুলি গড় ছিল কিন্তু রঙের টোন সামান্য বন্ধ ছিল।  দূরত্বে থাকা বস্তুগুলিরও সেরা বিবরণ ছিল না।  নাইট মোডে একটি শট নিতে 3-5 সেকেন্ড সময় লেগেছিল, কিন্তু এই ফটোগুলি আরও ভাল রঙ এবং সামান্য ভাল বিবরণ ছিল

 

 দিনের আলোতে তোলা সেলফির ভালো বিবরণ ছিল এবং পোর্ট্রেট মোড ভাল প্রান্ত সনাক্তকরণ পরিচালনা করে।  কাছাকাছি একটি আলোর উত্স সহ কম-আলোর সেলফিগুলিও ভাল পরিণত হয়েছে৷

 

 ভিডিও রেকর্ডিং 1080p 60fps এ শীর্ষস্থানীয় যা বরং আশ্চর্যজনক কারণ পুরোনো Redmi Note 10S 4K তে রেকর্ড করতে পারে।  দিনের আলোতে ফুটেজ শট ভালভাবে স্থিতিশীল ছিল, কিন্তু কম আলোর ফুটেজে ঝিলমিল দৃশ্যমান ছিল।REDMI NOTE 11T 5G DISPLAY:

ডিসপ্লের দিকে যদি আমরা আসি তাহলে দেখতে পাবো এই ফোন 6.6" ইঞ্চির FHD+ IPS ডিসপ্লে পাবেন আপনি। এই ফোনে আপনি 90 Hz রিফ্রেশ রেট পাবেন।এর ফলে ডিসপ্লে খুব স্মুথ চলবে। 240 Hz স্পর্শ স্যাম্পলিং রেট পাচ্ছেন আপনি।এর ফলে আপনি এখানে ভালই টাচ রেসপন্স পাওয়া যাবে।এতে সেন্টার পাঞ্চ হোল আছে।এতে গরিলা গ্লাস ৩ প্রটেকশন আছে। প্রাইস অনুযায়ী এই ফোনে স্ক্রীন বর্ডার যেটা আছে সেটা আমার কাছে ভালো লেগেছে। 


দুইটা জিনিস আমি বলতে চাই যে এতে আপনি HDR+ সাপোর্ট পাবেন না।আমি ডিসপ্লে টেস্টার নামে একটা অ্যাপ ডাউনলোড করে চেক করে দেখেছি। এই অ্যাপ বলে এই ফোনটিতে HDR+ সাপোর্ট করে না। এই অ্যাপ বলেছে DCIP 3 WHITE COLOUR GAMBET নেই এই ফোনে।কিন্তু এই ফোনের অফিসিয়াল পেইজে বলেছে যে DCIP 3 WHITE COLOUR GAMBET আছে।জানিনা যে এটা পেইজের গ্লিচ না অ্যাপের।


এবার ফোনের ব্রাইটনেসও ঠিক আছে।আপনি যদি ফোনের ব্রাইটনেস পুরটাই দেন তারপর একটু হালকা বাঁকা করে ধরেন তাহলে কিন্তু চোখে বেশি ভাজে না, জিনিসটা নরমাল মনে হয়।এর মাধ্যমে ভিডিওর ক্ষেত্রেও এটি ভালো খারাপ না।


•REDMI NOTE 11T 5G PERFORMANCE:

এই ফোনের পারফরম্যান্সের দিকে আসলে আপনি দেখতে পাবেন এই ফোনে রয়েছে MEDIEA TECK DIMENSITY 810 5G এর চিপসেট।এই ধরনের চিপসেট আমি তৃতীয়বার দেখলাম এই ধরনের ফোনে।এই ফোনের পারফরম্যান্স খুব ভালো।


আমি এই ফোনে পাবজি খেলে ছিলাম এবং ওই সময়ে গ্রাফিক্স ভালো লেভেলে রেখে ছিলাম।তখন খেলার সময় দেখি যে গেমে একেবারে ক্ষুদ্র পরিমাণে ল্যাক দেয়।এর গেমপ্লেও ভালই স্মুথ। একটা জিনিস আমি আগেও বলেছি এখনও বলছি এই চিপসেটের পরিমাণ খুবই কম।যদি এই ফোনের কোম্পানি চিপসেটের কোম্পানির সাথে কথা বলে একটা শক্তিশালী চিপসেট দিতে পারে তাহলে আপনি আরো হাই গ্রাফিক্সে গেম খেলতে পারবেন। চিপসেটের যদি অপটিমাইজেশন ভালো না হয় তাহলে চিপসেটের কোন মানেই হয়না। চিপসেট দিয়ে কোন লাভ নেই।এই ফোন বেশি গরম হয়ে যায় না।


•REDMI NOTE 11T 5G SOFTWARE, RAM AND STORAGE:

সফটওয়্যার কথা বললে এর সফটওয়্যার হচ্ছে MIUI 12.5.1 চলছে।এটি হচ্ছে Android 11 এর।MIUI 13 কবে আসবে এটা নিয়ে কিছুই জানি না আমি।এই সফটওয়্যারে আগে যা ছিল তাই আছে।খালি কিছু কিছু অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ বের করে দিয়েছে।


এছাড়া আপনি UFS 2.2 স্টোরেজ পাচ্ছে। এই ফোনে।এই ফোনের রেমে LPDDR4X এর সাপোর্ট আছে।এর ফলে আপনার ফোনে এটি রেম বুস্টার হিসেবে কাজ করবে। কিন্তু তারা তাদের ওয়েবসাইটে বলেছে যে এই ফোনের ৮ জিবিতেই ৩ জিবির ভার্চুয়াল রেম সাপোর্ট পাবে বা ১১ জিবি পর্যন্ত যেতে পারবে।তারা ৬ জিবি রেমের কথা কোথাও বলে নাই।এছাড়া ভার্চুয়াল রেমে আমি ততটা বিশ্বাস করি না। 


আমি একটি অ্যাপ ডাউনলোড করেছিলাম স্টোরেজ চেক করার জন্য সেখানে দেখেছি যে স্টোরেজের স্কোর ২০,০০০।এটা অনেক ভালো স্কোর স্টোরেজের ক্ষেত্রে।এই ফোনের যে সিকুয়েন্সিয়াল রেট আছে সেটা হচ্ছে 891। এই ফোনে একটা জিনিস ভাল লেগেছে যে কোনো অ্যাপ যখন আপনি খুলবেন বা বন্ধ করবেন তখন এটি খুব তাড়াতাড়ি হয়ে যাচ্ছে। তো আমার এই জায়গায় উন্নতি দেখতে পেরেছি।আমি ফোনটি ব্যবহার করেছি তখন একটু হালকা হালকা ক্ষুদ্র পরিমাণে ল্যাক দিয়েছে।


•REDMI NOTE 11T 5G NETWORK CONECTIVITY:

এখন যদি আমরা নেটওয়ার্ক কানেক্টিভিটি কথা বলি তাহলে এর নেটওয়ার্ক করছে ফাইভ-জি।এতে ডুয়াল সিম ফাইভ-জির সাপোর্ট আছে।কিন্তু নিলে আপনার কোন তেমন লাভ হচ্ছে না।কারণ আমি এটা জানি না যে কখন ইন্ডিয়াতে ফাইভ-জি চালু করা হবে।


তো আমরা এখন ফাইভ-জির কথাটা বাদ দিয়ে ফোর-জির কথা বলি কারণ ফোর-জি ইন্ডিয়ায় এখন চলছে বর্তমানে।এতে ফোর-জি প্লাস কেরিয়ারিগেশন নেই।আমি একটি অ্যাপের মাধ্যমে চেক করে দেখেছি যে এই ফোনে ফোর-জি প্লাস কেরিয়ারিগেশন নেই। এর সাথে সাথে বন্ধুরা আপনারা ডুয়াল ব্যান্ড ওয়াইফাই ফাইভ গিগাটস ব্যান্ড সাপোর্ট পাচ্ছেন।এই ফোনের ব্লুটুথ ভার্সন 5.1।সব সেন্সরের কাজ আছে এই ফোনে।এর ক্যামেরা 2 FPI।এছাড়া আপনি সাথে White Band 11 পাচ্ছেন।


•REDMI NOTE 11T 5G BATTERY:

•এখন মোবাইলটি রেখে দিয়ে দেখি বক্সে আর কিছু পাওয়া যায় কিনা।তারপর বক্সে ৩৩ ওয়াটের ফাস্ট চার্জার পাওয়া যায়।শাওমি এই চার্জারকে ফাস্ট চার্জার হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে।এরপর এখানে টাইপ C এর ক্যাবল পাওয়া যাচ্ছে।




নিজের টাকায় নিজে ফোন কিনবেন বুজে সুজে কিনুন ।আপনার টাকা আপনার সম্পদ।